হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওজা-ই-ইলমিয়ার পরিচালক আধুনিক বিশ্বের মুখোমুখি হতে দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন: বর্তমান যুগে বিজ্ঞান ও জ্ঞানের প্রসারণের প্রেক্ষাপটে বহু ক্ষেত্র অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হবে, যার মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য:
এই অংশে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা রয়েছে, যা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বিবেচনার দাবি রাখে।
দর্শনে বিকাশ ও সমালোচনা:
দর্শনের নতুন নতুন ধারার উন্মেষের জন্য সঠিক বুদ্ধিবৃত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করে নিরবচ্ছিন্ন সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গঠন; বিদ্যমান দুই বা তিনটি ধারায় থেমে না থাকা।
পশ্চাত্য দর্শনের সমালোচনা:
পশ্চিমা বিশ্বের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য যে দর্শনসমূহ সমাজের সব ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছে—সেগুলোর সমালোচনামূলক পর্যালোচনায় প্রবেশের গুরুত্ব।
পাঠ্য সংকলনে নতুন পথ:
বুদ্ধিবৃত্তিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতিতে বৈজ্ঞানিক পাঠ্যসংকলন ও উপস্থাপনার প্রয়োজন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি মনোযোগ:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর কেবল একটি সরঞ্জাম নয়, বরং এক ধরনের উৎপাদক শক্তি—এ কারণে দর্শন ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কিত এআই–সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যাপকদের বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা আবশ্যক।
দর্শনের মধ্যবর্তী তাত্ত্বিক মডেল উৎপাদন (সাধারণ মানুষের বোধগম্যতা):
এ ধরনের মধ্যবর্তী তত্ত্ব বা মডেল তৈরির প্রয়োজন যা আল্লামা তাবাতাবায়ী, শহীদ মুতাহহারি ও আয়াতুল্লাহ মিসবাহের বিশেষ দক্ষতা ছিল; অর্থাৎ ভারী দার্শনিক বিষয়বস্তু এমনভাবে বিন্যস্ত করা যাতে ছাত্রসমাজ ও সাধারণ মানুষ যুক্তিবাদী সমস্যার সমাধান সহজে বুঝতে পারে।
বিশ্বের দার্শনিক কথোপকথনে উপস্থিতি:
বৈশ্বিক দার্শনিক আলোচনায় সক্রিয় উপস্থিতি ও অংশগ্রহণের প্রয়োজন—যা প্রচেষ্টা, বিনিয়োগ ও পরিকল্পনা দাবি করে (এই ক্ষেত্রে হাওজার দুর্বলতা রয়েছে)।
উল্লেখ্য, এই বৈজ্ঞানিক সভায় ইসলামি দর্শনের বেশ কয়েকজন অধ্যাপক বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নানা মতামত উপস্থাপন করেন, যা পৃথক প্রতিবেদনে আলোচিত হবে।
আপনার কমেন্ট